স্টাফ রিপেোর্টার: ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের পাবনা কার্যালয়ে আকস্মিক হামলা চালায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন হেযবুত তওহীদের একজন কর্মী, আহত হয় আরো দশ জন।
রাত সাড়ে আটটার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই বর্বোরচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ২৪ আগষ্ট বুধবার দুপুর দুইটায় শেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে শেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদ। জানা যায়, পাবনা শহরের চরঘোষপুর এলাকায় ভাটামোড়ে অবস্থিত জেলা কার্যালয়ে সভাপতি সেলিম শেখ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে হেযবুত তওহীদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও ঘুড়িয়ে দাও শ্লোগান দিতে দিতে হামলা চালায় একদল সসস্ত্র সন্ত্রাসী।
তাদের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি, হাসুয়া, রাম দা লোহার রড দিয়ে অফিসে উপস্থিত সবাইকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মো:সুজন নামে একজন নিহত হয় এবং আরো দশ জন আহত হয়। হেযবুত তাওহীদের শেরপুর জেলার সভাপতি মুমিনুর রহমান পান্না মানববন্ধনে বলেন, হেযবুত তওহীদ যেহেতু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাই বেশকিছুদিন থেকেই আমরা উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের একটি হামলার ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছিলাম।
তারা বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল এবং অপপ্রচারমূলক মিথ্যা বক্তব্যসংবলিত হ্যান্ডবিল এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে গত মাসেই আমরা পাবনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। সাধারণ ডায়েরি নং-৩৯৭, তারিখ: প্রশাসন সাধারণ ডায়েরিটিকে আমলে নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। নিলে আজকের এই ঘটনা ঘটত না।
তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আরো বলেন, ‘যারা যারা এ হামলা চালিয়েছে এবং যারা পেছন থেকে ইন্ধন যুগিয়েছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও ধর্মীয় সামাজিক পরিচয় যাই হোক না কেন তারা সন্ত্রাসী। কাজেই তাদেরকে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।