শ্রীবরদীর ঘোরজানে অতর্কিত হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেন মজিদ মিয়া
শেরপুর জেলার শ্রীবরদীর ঘোরজানে আব্দুল মজিদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে অতর্কিত ভাবে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের শিকার হয়, অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেছেন মজিদ মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীবরদীর ঘোরজানে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের বন্ধ ঘোরজান গ্রামে।
আহত আব্দুল মজিদ ওই গ্রামের মো. রুস্তম আলীর ছেলে। এ ব্যাপারে আহতের বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মিলন মিয়া(২৫), মৃত আ: ছাত্তারের ছেলে মো. নুর হোসেন, শাহা আলীর ছেলে হাসমত আলী, মৃত আ: ছাত্তারের ছেলে নুর মোহাম্মদসহ অঙ্গাতনামা ৭/৮ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন, তারিখ ও সময়ে আব্দুল মজিদ নিজ বাড়ি থেকে কালিবাড়ি বাজারে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বসতবাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে জৈনক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের বাঁশঝাড়ের মাঝে জাম গাছের সাথে রশি দিয়ে কঠোর ভাবে বেঁধে শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি পায়ের একটি আঙ্গুল দা জাতীয় কিছু দিয়ে মারাক্তক ভাবে জখম করে। সাথে থাকা ৩০,৫০০/- টাকা নিয়ে চলে যায় নির্যাতন কারিরা।
স্থানীয় নুর ইসলাম, আ: জলিল, ডা: নবী হোসেন, আহাম্মদ আলী, সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা স্থানীয় কালিবাড়ি বাজার থেকে নামাজের পর রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাঁশঝাড়ের মাঝে গুংড়ানোর শব্দ শুনে, এগিয়ে গিয়ে টর্চ লাইটের মাধ্যমে আব্দুল মজিদকে গাছের সাথে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞান দেখতে পেয়ে, জরুরিভাবে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শেরপুর সদর হাসপাতালে যাওয়ার পর সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহে রেফার করেন। ময়মনসিংহ চিকিৎসা শেষে আহত আ: মজিদ মিয়া বতর্মানে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে অত্র অভিযোগের ২ নং আসামী নুর হোসেন জানান, এটা একটা পরিকল্পিত কেউ না কেউ করতে পারে। আমার মধ্যে আর মজিদের মধ্যে আগে থেকে দন্দ চলছে আর এসবের মধ্যে এ ধরনের একটি ঘটনা। আমার বাড়ির কাছে ঘটিয়ে কেউ আমাকে ফাসানোর চেষ্টা হতে পারে। যে সড়ক দিয়ে প্রতি মুহুর্তে লোকজন যাতায়াত করে এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
অনলাইন শপিং করতে: ক্লিক করুন
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার এসআই নুর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন পরিদশর্নসহ, এলাকাবাসী, উদ্ধারকারী ও বাদীর মানিত স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলেছি, তদন্ত শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কিছু বলা যাবেনা।” এলাকাবাসী সুষ্টতদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
আরও জানতে: ক্লিক করুন