স্টাফ রিপোর্টার: ভাষ্কর্যের মাধ্যমে শেরপুর জেলাকে তুলে ধরতে নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ খাঁন। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে তিনি পরিচিত সবার প্রিয় হারুন স্যার নামে।
গুণী এ শিল্পী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার শিমুলচূড়া গ্রামে ১৯৬৩ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে শ্রীবরদীর এপি পাইলট ইনস্টিটিউশন হতে এসএসসি পাশ করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি জাপানের ইউনিভার্সিটি অব কুকুসিমায় দু বছর গবেষণারত ছিলেন।
১৯৯২ সালে শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি তে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করা হারুন অর রশিদ খাঁন বর্তমানে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। নিভৃতচারী এ শিল্পী ইতিমধ্যে শেরপুর জেলার মাইসাহেবা জামে মসজিদের ক্যালিগ্রাফি ও সৌন্দর্যবর্ধন , জামালপুরের লাউচাপড়া অবকাশ কেন্দ্রের বিখ্যাত গারো নারী আচিক মান্দি ভাষ্কর্য , ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশের ডাইনোসর , জিরাফ , গজনী ফুড কোর্ট , ব্যাঙের ছাতা , মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য ” গেরিলা ৭১” হাঁসের ফোয়ারা , বারোমারি খ্রিস্টান মিশনারীতে মেরীর মূর্তি , শেরপুর শহরের প্রবেশদ্বারে দুটি হাতির ভাষ্কর্য , থানাঘাট জামে মসজিদের কালেমা ও আল্লাহু খচিত ক্যালিগ্রাফি , নতুন বাসস্ট্যান্ডে যুদ্ধজয় , খোয়ারপাড় শাপলা চত্তর সহ অসংখ্য ভাষ্কর্য ও ইসলামী ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেছেন । যা ইতিমধ্যে শেরপুর সহ সারা দেশে বেশ আলোড়ন তুলেছে ।
এ ব্যাপারে শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ খাঁন জানান , আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে অনুপ্রানিত হয়ে চিত্রকর্ম ও ভাষ্কর্য বিষয়ে পড়াশুনা করেছি । যতদিন বেঁচে আছি ততদিন নতুন নতুন শিল্পকর্ম তৈরি করতে চাই । আমি এখনও শেখার মধ্যে রয়েছি আরো শিখতে চাই । যাতে করে ভবিষ্যতে ভালমানের শিল্পকর্ম তৈরি করতে পারি এবং এর মাধ্যমে শেরপুর জেলার সার্বিক পরিচিতি ফুটে উঠুক দেশে বিদেশে ।