শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ছোট মালিঝি কান্দা গ্রামে ৪০ বছরের একটি পুরনো রাস্তা কেটে পুকুর খনন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই এলাকার প্রায় হাজারো মানুষের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ শ্রীবর্দি উপজেলার প্রভাবশালী ব্যাক্তি মোঃ ছামিউল হক সানা (৫০) কোন নিয়ম না মেনে হঠাৎ শত বছরের ওই রাস্তা কেটে পু্কুর নির্মান করে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে উল্টো হামলা-মামলার হুমকি দেখায়। সরজমিনে দেখা গেছে, ছোট মালিঝিকান্দার ওই রাস্তাটির এক পার্শ্বে ঝিনাইগাতী উপজেলা অপর পাশে শ্রীবরদি উপজেলা।
তাই এ বিষয়ে সঠিক মিমাংসায় পৌছাতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। স্থানীয় এলাকাবাসী সামিউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই রিস্তাটি আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে আসছি। মালিঝিকান্দা গ্রামের প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য এ রাস্তা ব্যবহার করে। হঠাৎ এমন কি প্রয়োজন হল হলো যে, ছানা মিয়া এলাকাবাসীকে না জানিয়ে রাস্তা কেটে পুকুর খনন করে ফেলল।
আরেকজন এলাকাকাসী পলাশ মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, এই রাস্তা দিয়ে কৃষক তার পণ্য বাজারে বিক্রি করতে যায়, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে যায়, কোন মূমুর্ষ রোগী থাকলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজার মানুষের চলাচলের একটিমাত্র রাস্তা বন্ধ হওয়ায় আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম। পরে কোন উপায় না দেখে আমরা এলাকাবাসীরা উদ্যেগী হয়ে নিজেরাই কাস্তে-কোদাল হাতে নিয়ে রাস্তা নির্মান করি।
স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সবাই শান্ত প্রিয় মানুষ। আমরা ঝগড়া বিবাদে জড়াতে চাই না। ছানা মিয়া প্রভাবশালি হওয়ায় বিভিন্ন সময় আমাদের হুমকি দেয়। শুনেছি আমাদের নামে নাকি মিথ্যা মামলাও প্রস্তুত করা। যাই হোক আমরা চাই শত বছরের এই রাস্তাটি যেন আমাদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃসিয়ামের-জন্মদিনে-পূজা-যা বললেন
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়ারেছ আলী নাঈম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ইতিমধ্যে শ্রীবরদি উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।
শ্রীবরদি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি যেহেতু ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদি উপজেলার। তাই ২ উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের সমন্বয়ে রাস্তাটির বিষয়ে সঠিক সুরাহা করা হবে।