শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর মরাকান্দি গ্রামের ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে শালিকার সাথে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে নাছিমা বেগম (২৬) নামে দুই সন্তানের জননীকে মাে. মফিজ উদ্দিন (৩০) নামে এক পাষন্ড স্বামী হত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক স্বামী মফিজ উদ্দিনকে আটক করেছে। আটক মফিজ উদ্দিন সদর উপজেলার মুন্সীরচর মরাকান্দি গ্রামের জনৈক মাে. সােহরাব আলী ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা মুন্সীরচর মরাকান্দি গ্রামের সােহরাব আলীর ছেলে মাে. মফিজ উদ্দিনের সাথে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরগােয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর গ্রামের মাে. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাছিমা বেগমের পারিবারিকভাবে বেশ কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাছিমা বেগম ও মফিজ উদ্দিনের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ১ মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।
এদিকে বেশকিছু দিন ধরে স্বামী মফিজ উদ্দিন তার শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনা স্ত্রী নাছিমা বেগম জানার পর স্বামী মফিজ উদ্দিনকে পরকীয়া প্রেম থেকে সরে আসার জন্য বলেন। এনিয়ে স্ত্রী নাছিমা বেগমের সাথে মফিজ উদ্দিনের পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে সােমবার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে মারধাের করেন। এতেও ক্ষান্ত থাকেনি পাষন্ড মফিজ উদ্দিন।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী নাছিমা বেগমের সাথে স্বামী মফিজ উদ্দিনের আবারাে বাগবিতন্ডা ও কলহের জের ধরে নাছিমা বেগমকে মারধাের করার এক পর্যায়ে সে মারা যায়। খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মােহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুরেশ রাজ বংশী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহত নাছিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল রিপাের্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহত নাছিমা বেগমের গলায় ও কানে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Our Youtube: Sherpur sangbad
এঘটনায় নিহতের স্বামী মফিজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।