স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী এমদাদুল হক লালু নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান এ রায় প্রদান করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এডভোকেট বরকত উল্লাহ ভুলু জানায়, ২০১০ সালের দিকে সদর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে এমদাদুল হক লালুর সাথে পাশ্ববর্তী ছয় ঘড়িপাড়া আব্দুর রশিদের কন্যা রোকসানা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই এমদাদুল হক যৌতুকের জন্য নানা ভাবে চাপ ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে ২০১৭ সালে ৬ সেপ্টেম্বর এমদাদুল হক লালু রোকসানাকে বেধম মারপিট করলে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসময় তার শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহৃ ছিলো। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে ৭ সেপ্টম্বর ভোরে মারা যায়। পরে এ বিষয়ে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে ওই বছর ২৭ সেপ্টম্বর নিহতের ভাই ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এমদাদুল হক লালুকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভিসেরা রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ দেখানো হয় বিষক্রিয়ায় নয় নির্যাতনে মারা গেছেন। ২০১৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চার্জ গঠন করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ১০ জন সাক্ষ্যির সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ এ রায় দেন।