স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা হতে গাজিরখামার ৭.১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার বেশির ভাগ অংশ খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে । এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাজিতখিলা ও গাজিরখামার ইউনিয়ন সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে গেছে , সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের । স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরে অবস্থিত বাজিতখিলা হতে গাজিরখামার গামী রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এবং রাস্তার উপরিভাগ ঢালু থাকায় প্রায়শ ঘটছে দুর্ঘটনা । এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে ।
বাজিতখিলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাইদুর রহমান বলেন , আমার বাড়ির সামনে রাস্তার মাঝে বড় ধরনের গর্ত তৈরির ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে । যার ফলে বিভিন্ন অটোরিকশা , ভ্যান , পিকআপ সহ নানা যান প্রায়ই উল্টে যায় । আমরা চাই যাতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে । রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী খরখরিয়া গ্রামের মাজেদা বেগম বলেন , রাস্তা নষ্ট থাকায় চলতে খুব কষ্ট হয় , কোন গর্ভবতী মহিলা বা রোগি কে নিতে সমস্যা হয় ।
সরকার যেন রাস্তাটি ঠিক করে দেয় । ভ্যানচালক আরিফ। ভ্যান চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, রাস্তা খারাপ থাকায় ঘন ঘন গাড়ি নষ্ট হয় , দুর্ঘটনা ঘটে । এতে অনেক ক্ষতি হয় তাই রাস্তাটি সরকার ঠিক করে দিক । স্থানীয় খরখরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গাজিরখামার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজু আহাম্মেদ বলেন, বাজিতখিলা হতে গাজিরখামার গামী রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ২০ হাজার লোক চলাচল করেন, রাস্তা খারাপ থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে তাই একজন ইউপি সদস্য হিসেবে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই ।
” গাজিরখামার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আওলাদুল ইসলাম বলেন , এ রাস্তাটি প্রায় ৭ বছর ধরে সংস্কার হয় না । ফলে বর্তমানে রাস্তাটি বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে । তবে শেরপুর – ১ আসনের এমপি ও হুইপ আতিউর রহমান আতিকের কথা উল্লেখ করে বলেন , হুইপ সাহেব কথা দিয়েছেন দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে দিবেন । বাজিতখিলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম বলেন , রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় আছে ।
আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো যাতে রাস্তার সংস্কারে কাজ করা হয় । এব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন , আমরা এ রাস্তাটি ৩৫০০ মিটার হতে ৭০১৬ মিটার পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছি এবং টেন্ডার আহবান করা হয়েছে । আশা করি এ অর্থ বছরে কাজ শেষ হবে এবং রাস্তাটির প্রসস্থতা বাড়ানো হবে কোন সমস্যা না হলে বাকি রাস্তার কাজটুকুও এ অর্থ বছরে শেষ হবে ।