স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের তারাগঞ্জ আড়াইআনী এলাকায় এবার দু’দফা পাহাড়ি ঢলে দেখা দিয়েছে ভোগাই নদীর তীব্র ভাঙ্গন। এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকটি বসত বাড়ি ও স্থাপনাসহ বিস্তীর্ণ মাঠ। সম্প্রতি নদীর উত্তর পাড়ে বেড়েছে ভাঙনের মাত্রা।
এতে ভাঙনের কবলে পড়েছে দুটি রাইসমিল, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি ও স্থাপনা। নদী ভাঙনের আশংকায় আতংকিত স্থানীয়রা। নদী ভাঙন কবলিত লোকজন জানান, এবার বর্ষার শুরুতে দু”দফা পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ীর পৌর শহরের ভোগাই নদীতে প্রবাহিত হয় পানির তীব্র স্রোত। এতে দেখা দেয় নদী ভাঙন।
দু’ দফা পাহাড়ি ঢল আর নদী ভাঙনে বিলীন হয় কয়েকটি বসত বাড়ি ও স্থাপনাসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সম্প্রতি নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন দুটি রাইস মিল মালিকসহ এলাকাবাসী। তারাগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার জানান, নদীর দক্ষিণ পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ করায় ওই পাশে ভাঙন রোধ হয়েছে। সেই থেকে উত্তর পাশে বেড়েছে ভাঙন।
এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে এখানকার দুটি রাইস মিল ও তারা গঞ্জ ফাজিল মাদরাসা ভবন সহ বেশ কিছু বাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই নদী ভাঙন ঠেকাতে সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাজাহান বলেন, নদী ভাঙন এলকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
এমনকি নদী ভাঙন ঠেকাতে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে অচীরেই নদী গর্ভে ভেঙে পড়বে এখানকার রাইসমিল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা । এ জন্য প্রয়োজন নদীর পাড়ে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ সচেতন মানুষরা।