দীর্ঘ সাত মাস পর চালের বাজারে ব্যবসায়ীদের স্বস্তির বার্তা।
দীর্ঘ সাত মাস পর চাল ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের দিচ্ছেন স্বস্তির বার্তা। বোরো মৌসুমের ফলন ভালো হওয়ায় চালের বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।
০১ সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট, স্বর্ণা ও বিআর – ২৮ জাতের চালের দাম কেজি প্রতি ৪ – ৫ টাকা কমেছে।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি ঈদ সামনে রেখে বাড়েনি কোন মসলার দাম। তবে বেড়েছে ইলিশ, চিনি, সয়াবিন তেল ও মুরগির দাম।
কেজি প্রতি ০৫ টাকা বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে।
আর প্যাকেটের চিনি ৭৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ১০ – ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
আজ শুক্রবার (৭ মে) ছুটির দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে পদ্মার ইলিশের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মার ইলিশের দাম আরো বেড়েছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা।
তবে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মিনিকেট চাল ৬০ – ৬২ টাকা থেকে কমে এখন ৫৬ – ৫৭ টাকা। স্বর্ণা ৪৬ – ৪৭ টাকা থেকে কমে এখন ৪২ – ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিআর – ২৮ ৫০ – ৫২ টাকা থেকে কমে এখন ৪৪ – ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মসলার বাজার রয়েছে অপরিবর্তিত।
তবে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির।
গত সপ্তাহে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মুনির বলেন, ঈদের আগে মুরগির বেশি করে কিনে রাখে মানুষ। চাহিদা বাড়ায় মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বেড়েছে। তবে দাম বাড়লেও মানুষ কিনছেন। চাহিদা ভালোই রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইলিশ মাছ কিনতে এসে চোখ কপালে উঠেছে ক্রেতাদের। ক্রেতা আব্দুর রহিম কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে বললেন, পরিবহণ তো চলছে তাহলে সরবরাহ কম কেন হবে। এসব অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়। রোজা আর ঈদ আসলেই এদের পণ্যের দাম বাড়াতে হয়।
আরও জানুন: হয়রানি কমাবে মেয়েদের তৈরি অ্যাপ!
আরও জানতে: ক্লিক করুন।